অনেকটা বছর পেরিয়ে গেলো।
চোখটা বন্ধ করলে,
এখনো চোখে খালি ভাসে,
তার চলে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো।
অভিমানি চোখগুলো তার,
অনেক কিছুই সেদিন বলতে চেয়েছিলো।
শুধু নিজেকে শক্ত রেখেছিলো সে,
যাতে আমি ভেঙ্গে না পড়ি।
আমার চেয়েও আমাকে বোধই সে,
একটু বেশিই বুঝতো।
যত যায় হোক সম্পর্কের মলাটে,
বন্ধুত্বটা বেশ দৃঢ় ছিলো দুজনের।
আমাদের সমাজ!
অপ্রতিষ্ঠিত কোনো কিছুকেই,
কখনো সমর্থন করে না।
দোষটা না তার ছিলো, না তার পরিবারের।
সবার পরিবার,
তাদের ঘরের রাজ কন্যার জন্য,
নিশ্চিত একটা ভবিষ্যৎ খোঁজে।
একজন কলেজ কিংবা ভার্সিটি,
পড়ুয়া ছাত্রের জন্য ব্যাপারটা,
অনেকটাই অপ্রিয় হলেও সত্য।
দেখতে আসলেই বিয়ে হয় না!
কথাটা আমাদের সমাজের,
বহুল প্রচলিত একটা কথা।
কিন্তু কখনো কখনো,
আমাদের ভাবনার বিপরীতে গিয়ে,
এমন কিছুও ঘটে বসে যার জন্য,
আমারা কেউ কখনো,
আগাম প্রস্তুত হয়ে থাকি না।
আমার কপালেও,
এমন কিছু লিখে রেখেছিলো বিধাতা।
তবে সত্যি তো এটাই,
নিজেকে যোগ্য করে তোলার আগে,
এই সমাজে সম্পর্ক গুলো বড্ড ভিত্তিহীন।
সেদিন বুকে চাপা কষ্ট গুলো,
সে না কাউকে বলতে পেরেছিলো,
না আমি কাউকে বোঝাতে পেরেছিলাম।
গল্পটা অসম্পূর্ণ মনে হলেও,
সময়ে সাথে সাথে আমরা ভুলতে বাধ্য হয়৷
অতীত আমাদের পিছুটান হয়ে থাকলেও,
বর্তমান আমাদের মানিয়ে নিতে বাধ্য করে।
রাত শেষে চোখের জলটাও শুকিয়ে যায়।
ভোরের আলোর সাথে সাথে,
নিজেরর সাথে নিজের লড়াইয়ে,
হারি কিংবা জিতি তাতে কিবা যায় আসে?
পরিবারের মানুষগুলোকে,
ভালো রাখার জন্য হলেও,
আমাদের অসমাপ্ত গল্পটা,
নিজের ভেতর স্মৃতি পাতায়,
যত্ন করে তুলে রাখতে হয়।
0 Comments